উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের(Pakistan) লাহোরের জেলে বন্দি ছিলেন পঞ্জাবের ছেলে সরবজিৎ সিং(Sarabjit Singh)। ২০১৩ সালে সেই লাহোরের জেলে সহবন্দিদের হাতে খুন হন তিনি। সরবজিৎ খুনের মূল অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তম্বাকে পরে বেকসুর খালাস করে দেয় পাকিস্তানের একটি আদালত। এবার পাকিস্তানেই ‘ভারতবিরোধী’ আমিরকে খুন করল এক অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী। আমির সরফরাজ তম্বাকে খুনের পর ভারতবিরোধীরা ফের আক্রান্ত হতে পারে বলে পাকিস্তানে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি, ভারতে জঙ্গি(Terrorism) হামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১২ জনের মৃত্যু দেখেছে পাকিস্তান। যেখানে জইশ-ই-মহম্মদ, খলিস্তানি জঙ্গিরাও রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনাই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছিল। যা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাজ বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। যদিও এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, ভারত অন্য দেশের সর্বভৌমত্বকে সম্মান করে। তারা অন্য দেশে অভিযান করে না।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ এর সেপ্টেম্বরে মাসে মহম্মদ রিয়াজ আবু কাসিম কাশ্মীরির নিহত হয়েছিল। যে জম্মাত-উদ-দাওয়া (JUD)-এর একজন সক্রিয় নেতা ছিল। একইভাবে, করাচিতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে জেএম প্রধান মওলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মওলানা জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছেন। সে সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান নিয়োগকারীদের মধ্যে ছিলেন। পাশাপাশি এলইটি-র মুফতি কায়সার ফারুকী করাচির সোহরাব গোঠ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে নিহত হয়। মুফতি কায়সার ফারুকী ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। একাধিক মামলায় জড়িত খলিস্তান কমান্ডো বাহিনীর আরেক মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী মে মাসে লাহোরের জোহর টাউনে নিহত হয়। সে পঞ্জাবে সন্ত্রাসের জন্য তরুণদের নিয়োগ করছিল বলে অভিযোগ। এছাড়াও ভারতে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত আরও একাধিক ব্যক্তি গত কয়েক মাসে খুন হয়েছে। তারপর থেকেই পাকিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির আতঙ্ক বাড়ছে।