খড়িবাড়ি: জনসমক্ষে জনপ্রতিনিধিদের হাতাহাতির ঘটনায় খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা নান্টু মণ্ডল, সদস্যা মনীষা সরকার, বিজেপির জেলা সম্পাদিকা ববিতা ছাত্রী ও বিজেপি নেতা অজিত দাসের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কাজ বণ্টনে বৈষম্যের অভিযোগে বুধবার খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সাধারণ ও অর্থের স্থায়ী সমিতির সভার শেষে কাজের দাবি নিয়ে বচসার জেরে জনসমক্ষে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি, টানা হেঁচড়া চলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না রায় সিংহ ও বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যা মনীষা সরকারের মধ্যে। দীর্ঘক্ষণ বিডিও অফিসের গেট বন্ধ করে আন্দোলন করা হয় বিজেপির তরফে। যার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে খড়িবাড়ি বিডিও অফিস ক্যাম্পাস। রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ।
বৃহস্পতিবার খড়িবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না রায় সিনহা। তাঁর অভিযোগ, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ধাক্কাধাক্কি এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করেন বিরোধী সদস্যা সহ অন্যান্যরা। তাঁরা পরিকল্পনামাফিক হেনস্তা করেন। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন তিনি। সবাইকে সমান কাজ দেওয়া হয়েছে এবং তৃণমূলের সদস্যরা এক দুটি কাজ পেয়েছেন যেখানে বিরোধী দলনেতা দুটি কাজ পেয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যা মনীষা সরকার বলেন, ‘শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে প্রাণে মারার ঘটনা হাস্যকর বিষয়। তৃণমূলের জমানায় বিরোধীদের আতঙ্কিত হওয়া উচিত কিন্তু শাসকদলের সভাপতি এই কথা বলছেন। কাজের জন্য কথা বলতে গিয়ে সভাপতি নিজেই ধাক্কা দিয়েছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিজেপি কর্মীদের আটকানো যাবে না।‘ গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।