ঢাকা: কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী পঙ্কজ উধাসের (Pankaj Udhas) প্রয়াণে শোকের ছায়া বাংলাদেশেও (Bangladesh)। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি বলেন, ‘পঙ্কজ উধাসের প্রয়াণে আমরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। শিল্পীর পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রয়েছে।’
গজলের মধ্য দিয়ে সংগীত জগতে বিশেষ অবদান রেখে গিয়েছেন পঙ্কজ উধাস। তিনি সমানভাবে জনপ্রিয় বাংলাদেশেও। সোমবার মুম্বইয়ে (Mumbai) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। টুইটারে পোস্ট করে তাঁর প্রয়াণের খবর জানিয়েছেন শিল্পীর মেয়ে নায়াব উধাস।
অনুষ্ঠান, অ্যালবাম, ছবির গানে ৮০-র দশককে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন পঙ্কজ। ‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যায়ার করো’, নিকলো না বেনাকাব’- পঙ্কজ উধাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের মনের রসদ। ‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাটের জেটপুরে জন্মেছিলেন গায়ক পঙ্কজ উধাস। ১৯৮০ সালে ‘আহট’ নামের একটি গজলের অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে গজলের জগতে পরিচিত হন তিনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বলিউডের সংগীত জগতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে ওঠেন। সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ১৯৮৬ সালের মুক্তি পাওয়া ছবি ‘নাম’-এর “বড়ে দিনো কে বাদ/ হম বে বসনে কো ইয়াদ…” সংগীতপ্রেমী যে কোনও ভারতীয়র চোখের কোণে জল এনে দিয়েছে এবং এখনও দেয়। এরপর তার সংগীত জীবনে তিনি একটির পর একটি গজলের অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। লাইভ কনসার্টে অংশ নিয়েছেন। ২০০৬ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করে।