চালসা: বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ১, পড়ুয়া ৩৮। পঠন-পাঠান, মিড ডে মিল সহ যাবতীয় কাজ ওই শিক্ষককে একাই সামলাতে হচ্ছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে ওই শিক্ষকের। তাও তিনি আবার পার্শ্ব শিক্ষক। মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত বার্মাধুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই অবস্থা। বর্তমানে ওই এক শিক্ষককে দিয়েই চলছে বিদ্যালয়। সম্প্রতি নতুন শিক্ষক নিয়োগের তালিকায় এই বিদ্যালয়ে কোনও শিক্ষক আসেনি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভে শামিল অভিভাবকেরা। উপস্থিত ছিলেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা সঙ্গীতা ওরাওঁ।
জানা গিয়েছে, আগে বিদ্যালয়টিতে ২ জন শিক্ষক ছিলেন। গত বছরের ৩১ মার্চ মাসে বিমল সরকার নামে ১ জন শিক্ষক অবসর গ্রহণ করায় পার্শ্ব শিক্ষক বিমল ওরাওঁ বিদ্যালয়টি চালাতেন। গত বছর অগাস্ট মাসে একজন সহকারী শিক্ষককে ওই বিদ্যালয়ে অস্থায়ী হিসেবে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনিও গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্যালয় ছেড়ে নিজের পুরোনো স্কুলে চলে যান। বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি পার্শ্বশিক্ষক বিমল ওরাওঁ একাই সামলাচ্ছেন। তিনি বলেন, একার পক্ষে বিদ্যালয় সামলাতে খুবেই সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ আমাকেই করতে হচ্ছে। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের তালিকায়ও এই বিদ্যালয়ে কোনও শিক্ষক আসেনি।
মেটেলির অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বিজয়চন্দ্র রায় বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ভ্যাকেন্সি তালিকায় ওই বিদ্যালয়টির নাম ছিল। কেন শিক্ষক দেওয়া হল না তা বুঝতে পারছি না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো আছে। এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লৈখ্যমোহন রায় জানান, ভ্যাকেন্সি লিস্টের তালিকায় ওই বিদ্যালয়টির নাম ছিল। কিন্তু কোনও শিক্ষকই ওই বিদ্যালয়ে যেতে রাজি হয়নি। বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন স্বাভাবিক রাখতে আপাতত অন্য কোনও শিক্ষককে ওই বিদ্যালয়ে দেওয়া হবে। স্থায়ীভাবে শিক্ষক যাতে ওই বিদ্যালয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।