বালুরঘাট: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তারি নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার তো সময়ের অপেক্ষায় ছিল। চোরেদের অনেক আগেই গ্রেপ্তার করা দরকার ছিল। যে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বাকিবুরের পাওয়া গেছে। সম্পত্তি বলার থেকে রাজত্ব বলা ভালো। সেই সম্পত্তি বা রাজত্ব আদতেও কার। তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা বহু চাল চুরির অভিযোগ পেয়েছি তো বোঝাই যাচ্ছে যত চোর অ্যারেস্ট হচ্ছে তত চোরের ছটফটানি বাড়ছে। কান এসেছে এরপর মাথাও আসবে।‘
শান্তিনিকেতনে তাঁর বাংলোর খোঁজ পাওয়ার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা বুঝতে পারছি না জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কোন চাকরি বা কোন ব্যবসা করতেন যে এত টাকার সম্পত্তির মালিক এই কয়েক বছরে হয়ে গিয়েছেন। ৬ কোটি টাকার বাংলো তাঁর। আমার তো মনে হয়, গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের সব টাকা এদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এরাই চুরি করেছেন সেই জন্য এই অবস্থা হয়ে আছে। এত টাকার সম্পত্তির মালিক আর গরিব মানুষেরা টাকা পায় না।‘
এছাড়া কার্নিভাল দেখার জন্য রাজ্যপালের কাছে কোনও আমন্ত্রণপত্র না পৌঁছনো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলবল এই রাজ্যটা চালাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যটাকে তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি বলে মনে করেন। শুধু রাজ্যপাল কেন, বিরোধী দলের কারোর আমন্ত্রণ নেই। মা দুর্গা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গে আসেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চলে যান। কার্নিভালটা তিনি এইভাবেই তৈরি করেছেন। আগে তো আর দুর্গাপুজো হত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর দুর্গাপুজো হচ্ছে। উনি এইভাবে চালাতে চাইছেন। রাজ্যের মানুষ সমস্ত কিছু দেখছেন। সময় আসছে। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে জুতোর বাড়ি মারবে।‘