উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী। এদিন ১০ মাস পর জেল থেকে বেরোলেন অর্পিতা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র বিশেষ আদালতে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন অর্পিতা। সেখানেই তাঁর আইনজীবী এই দাবি করেছেন।
সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে অর্পিতা বলেছেন, ‘‘আমার বাড়ি থেকে টাকা গয়না উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু আমি পরিস্থিতির শিকার। মাস্টারমাইন্ড হলেন পার্থ।’’ যদিও ইডির দাবি, অর্পিতা নিজের দায় অস্বীকার করতে পারেন না। তিনিও সমান ভাবে দায়ী।
এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে অর্পিতা জানান, সংস্থার সব কাজ হত পার্থর বাড়িতে। বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটে অনন্ত টেক্সফ্যাবের অফিস ছিল। সেই কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং ওই সংস্থার সব ক্ষমতা পার্থর হাতেই ছিল বলে জানান অর্পিতা।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৩ জুলাই ইডি তথা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা হানা দিয়েছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে। সেদিন সেই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় হয়েছিল নগদ বিশ কোটি টাকা। তাঁকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করে ইডি। তার পর কদিন ইডি হেফাজতে থাকার পর জেল হেপাজতে পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতাকে। আদালতের নির্দেশে গত প্রায় ১০ মাস প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই ১০ মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেশ কয়েক বার সশরীরে আদালতে হাজিরা দিলেও অর্পিতা হাজিরা দিয়েছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
অর্পিতা এর আগে দাবি করেছিলেন যে, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। শুধু তা নয়, তাঁকে গ্রেপ্তার করে মর্যাদাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন অর্পিতা। তিনি বলেছিলেন, আমি অত্যন্ত উচ্চবংশের মেয়ে। মা অসুস্থ। তাঁর পাশে থাকতে হবে।