উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আমার জয়ের পেছনে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা ছিল না। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে এমনটাই জানিয়ে দিলেন ‘দলবদলু’ কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। কংগ্রেসে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা যাচ্ছিল না বলেই জানিয়েছেন বায়রন। অধীর চৌধুরি বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন না বলেও অভিযোগ করেন বায়রন। অভিষেক নিজে জানিয়েছেন, একাধিকবার বায়রনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই বায়রন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তবে জয়ের পর থেকেই দলবদলের জল্পনা তৈরি করেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। আবার নিজেই সেই জল্পনাকে নস্যাৎও করেন। সাগরদিঘিতে জেতার পর বায়রন প্রথমবার বিধানসভায় এসে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি তৃণমূলের লোক। বায়রনের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, ‘তৃণমূলে যাওয়ার কী আছে। আমি তো তৃণমূলেরই লোক। তৃণমূলের ভোটেই তো আমি জিতেছি।’ এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়েও বায়রন জানিয়েছেন, অনেকে বলছে, বিজেপির ভোটে জিতেছি। কিন্তু না। তৃণমূলের বেশিরভাগ লোক তাঁকেই ভোট দিয়েছেন। বায়রনের বক্তব্যে উৎসাহিত হয়েছিল তৃণমূল শিবির। দিনকয়েক আগে ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ওকে ছেড়ে রেখেছি। ও এখনও বুঝে উঠতে পারেনি ব্যাপারটা কী হল! এখনও তল খুঁজে পায়নি। একটু থিতু হোক।’
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ারে গিয়ে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন বায়রন। বিধানসভায় কংগ্রেসের এক মাত্র বিধায়ক ছিলেন বায়রন। কিন্তু কেন এই দলবদল? বায়রন জানান, রাজ্যের উন্নয়নে শামিল হতে, নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্যই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দিয়েছেন তিনি। এদিন বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর অভিষেক বলেন, ‘বিধানসভায় জয়ের পর বায়রনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। জনসংযোগ যাত্রাতেও আমাদের কথা হয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই সর্বাত্মক করতে বায়রন তৃণমূলে যোগ দিলেন। আমি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছি। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে জোর গলায় লড়াই করবেন।’