সানি সরকার, শিলিগুড়ি: বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) নতুন টার্মিনাল ভবনের শিলান্যাস করতে আগামী ৩ মার্চ শিলিগুড়ি (Siliguri) আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ওইদিন সকাল ১০টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে তিনি বাগডোগরায় আসবেন এবং শিলান্যাস অনুষ্ঠান শেষে গুয়াহাটি উড়ে যাবেন।
এই সংক্রান্ত একটি বার্তা সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছায়। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট। সাংসদের বক্তব্য, ‘মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। কাজের সূচনা প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ অবশেষে শুরু হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে শিলান্যাস হবে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন এবং রানওয়ে তৈরির কাজের। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকেন নেক ভৌগোলিক অবস্থানের কথা মাথায় রেখে বিমানবন্দরটি তৈরি করা হবে। নতুন কাজের জন্য ইতিমধ্যে চারটি সংস্থা দরপত্র জমা দিয়েছে। বায়ুসেনার বিমানের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। তবে ভবিষ্যতে বাগডোগরা দেশের প্রথম সারির বিমানবন্দর হয়ে উঠবে।
কী কী থাকবে বাগডোগরায়? ১০টি এরোব্রিজের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬টি গড়ে তোলা হবে। অর্থাৎ যাত্রীরা টার্মিনাল থেকে সরাসরি বিমানে পৌঁছে যেতে পারবেন। পরিকল্পনায় রয়েছে মাল্টি লেভেল কার পার্কিং ব্যবস্থা। বাগডোগরাকে নতুন লুক দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার বর্গমিটার জমিতে টার্মিনাল গড়ে উঠবে। নতুন টার্মিনাল তৈরি হলে ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার যাত্রী তা ব্যবহার করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হল এ৩২০, বি৭৩৭-এর মতন ১৬টি বড় বড় এয়ারক্রাফট একসঙ্গে রানওয়েতে থাকতে পারবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একসময় জমি সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মন্ত্রী থাকাকালীন এব্যাপারে উদ্যোগ নেন গৌতম দেব। তাঁর প্রচেষ্টাতেই রাজ্য সরকার এএআই-কে জমি দেয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবেশ আদালতের অনুমতি। সম্প্রতি এব্যাপারে একটি গণশুনানি হয়। বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন আর কাজে কোনও বাধা নেই।