সৌরভ রায়, ফাঁসিদেওয়া: একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ফাঁসিদেওয়া বালিকা বিদ্যালয় (Phansidewa School)। রাস্তার পাশে থাকা সীমানা প্রাচীর ফাটল ধরে হেলে গিয়েছে। ফলে, যে কোনও সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথযাত্রীরা বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, শুধু সীমানা প্রাচীর নয়, স্কুলে রয়েছে আরও একাধিক সমস্যা। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
ফাঁসিদেওয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজরি ঘোষের মন্তব্য, ‘সীমানা প্রাচীর ছাড়াও পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা, স্কুল বিল্ডিংয়ের ভগ্নদশা নিয়ে শিলিগুড়ি (Siliguri) শিক্ষা জেলার ডিআই, বিডিও, এডিএম (এডুকেশন) সহ সমস্ত জায়গায় চিঠি করা হয়েছে। মেরামতির জন্য একটি দল পরিদর্শনে এসেছিল। এগুলি সমাধান হয়নি।’ মিড-ডে মিল হলেরও সমস্যা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, নতুন করে মিড-ডে মিলের ডাইনিং হল, শৌচালয়, অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ স্যাংশন হয়েছে। তবে, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে স্কুলের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১ হাজারের বেশি ছাত্রীর সমস্যা হবে। সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়লে মেয়েদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। সবমিলিয়ে একাধিক সমস্যায় ধুঁকছে ফাঁসিদেওয়ার এই স্কুল।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বাইরে থেকে নোংরা ফেলে দেওয়া হয়। স্কুল মাঠে গবাদিপশু ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে, পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার মন্তব্য, ‘আমরা প্রশাসনের উপর ভরসা রাখছি। আমরা আশাবাদী সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে৷ প্রয়োজনে আমাদের আবার প্রশাসনের কাছে চিঠি করতে হবে।’ স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তাপসী দেবনাথ সমস্যার কথা স্বীকার করে মন্তব্য করেছেন, ‘স্কুলের পাশের রাস্তা দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। তাই, প্রশাসনের কাছে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়ে স্কুলের তরফে চিঠি করা হয়েছে।’
স্থানীয় হরিহর কুণ্ডু সহ সকলের দাবি, সীমানা প্রাচীরের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। সেটি ভেঙে পড়লে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বিপ্লব বিশ্বাসের কথায়, ‘সোমবারই স্কুলের তরফে সমস্যার বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। স্কুলে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হচ্ছে। গেট থেকে শ্রেণিকক্ষ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য একটি পাকা রাস্তা করে দেওয়া হবে।’ মঙ্গলবার তিনি স্কুলে পরিদর্শনে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।