ভাস্কর বাগচী, শিলিগুড়ি: কাওয়াখালির ময়দানে গত বিধানসভা ভোটের আগে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রায় তিন বছর পর সেই মাঠেই আবার প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে বাড়তি উৎসাহ বিজেপি (BJP) নেতাদের মধ্যে। এবার প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য দুটি মঞ্চ থাকছে। একটি মঞ্চ থেকে সরকারি বেশ কিছু পরিষেবার উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য মঞ্চ থেকে হবে তাঁর রাজনৈতিক বক্তৃতা। সরকারি মঞ্চ থেকে যে অনুষ্ঠান হবে সেই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন উত্তরবঙ্গের সাংসদ ও বিধায়করা। রাজনৈতিক মঞ্চে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি এবার দার্জিলিং জেলার সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী হিসেবে রাজু বিস্টের সঙ্গে যাঁর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় সেই প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার উপস্থিতি থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, শনিবারের প্রধানমন্ত্রীর সভার পর উত্তরবঙ্গের বাকি তিন কেন্দ্রের প্রার্থীতালিকা নিয়ে জল মাপতে শুরু করবেন জেলার বিজেপি নেতারা।
লোকসভা ভোটের মুখে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে এতটাই উৎসাহ যে, সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডলের কথায়, ‘গতবার যত মানুষ এসেছিলেন তার থেকেও বেশি মানুষ এবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় আসবেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সভায় কত মানুষ আসবেন তার কোনও হিসেব থাকে না। তবে নৌকাঘাট থেকে কাওয়াখালি পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য মানুষের ঢল নামবে।’
এদিকে, উত্তরবঙ্গের তিনটি আসনের প্রার্থীতালিকা এখনও ঘোষণা না হওয়ায় কিছুটা হলেও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন ওই আসনগুলির বর্তমান সাংসদরা। প্রত্যেকেই অপেক্ষা করে আছেন প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিকে। সেই সফরে ওই তিন আসনের বর্তমান সাংসদরা গুরুত্ব পান নাকি নতুন মুখকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা দল। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে যে সাংসদের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে, তিনি ঠিক করেছেন মোদি চলে যাওয়ার পর ১০ তারিখই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ফলে মোদির সফরের উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
বিজেপি সূত্রে খবর, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মন ও রায়গঞ্জ কেন্দ্রে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের নাম সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকায় থাকলেও তাঁরা আদৌ প্রার্থী হতে পারবেন কি না তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে মোদির শিলিগুড়ি সভার পরই।