উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুরহস্যের জট ছাড়াতে তৎপর পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বর্তমান ও প্রাক্তনীকে নিয়ে মোট ন’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত প্রত্যেকেরই বয়ানে কিছু না কিছু অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গত ৯ অগাস্ট রাতে আসলে কী হয়েছিল, তা এখনও ধোঁয়াশায় মোড়া। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সপ্তক কামিল্যাকে যাদবপুর মেন হস্টেলে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সপ্তককে নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই হস্টেলে ৯ অগাস্ট রাতের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। এরপর বাকি আটজনকে আলাদা আলাদা ভাবে নিয়ে আসা হবে। প্রত্যকের কাছেই জানতে চাওয়া হবে, গত ৯ অগাস্ট রাতে ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ নজর রাখবে এই ছাত্র এবং প্রাক্তনীদের বয়ানে থাকা অসঙ্গতির দিকেও।
যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যে চারজন প্রাক্তনীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম এই সপ্তক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সপ্তকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। তবে সপ্তকের আগে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যাদবপুরের আরও এক প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। এছাড়াও সুমন নস্কর এবং অসিত সর্দারকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আগেই যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। গত বুধবার আরও তিন ছাত্র জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ, আসিফ আফজল আনসারি, অঙ্কন সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।