রায়গঞ্জ: ভোট পরবর্তী হিংসা উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের সুরন-১ অঞ্চলের ডামডোলিয়া গ্রামে। তৃণমূল ও নির্দল সংঘর্ষে আহত হলেন দু’পক্ষের অন্তত ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে শিলিগুড়িতে রেফার করা হয়। বাকিদের আঘাত গুরুতর নয়।
অভিযোগ, নির্বাচনে জেতার পর নির্দল সমর্থকদের মারধর শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এখনও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে সেখানে। গ্রামে পুলিশি টহল থাকলেও পরাজিত নির্দল প্রার্থী সহ কর্মী-সমর্থকরা গ্রামের বাইরে রয়েছেন। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীর কাছে নির্দল প্রার্থী ২৫ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এরপরই গ্রামে তাণ্ডব শুরু হয়। গতকাল রাতে তৃণমূল সমর্থকরা বিজয় মিছিল চলাকালীন নির্দল সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
যদিও তৃণমূল সমর্থকদের পালটা অভিযোগ, নির্দল সমর্থকরা তাঁদের ওপর আক্রমণ করেছে। নির্দল পরাজিত প্রার্থী মুকসেদ আলম বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতে যাঁকে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল তাঁকে আমাদের পছন্দ হয়নি বলে নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমাকে প্রার্থী করা হয়। কিন্তু কারচুপি করে আমাকে ২৫ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের পর গ্রামে সন্ত্রাস শুরু করেছে তৃণমূলের লোকজন। আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে। গ্রামে যেতে পারছি না। আবার ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে।’ আহত তৃণমূল নেতা তাজিমূল হক বলেন, ‘নির্দল প্রার্থী হেরে যাওয়ার জন্যই তাদের কর্মীরা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’ গ্রামে পুলিশি টহল চলছে।
