উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ যৌন হেনস্তায় বাধা পেয়ে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে জোর করে স্যানিটাইজার খাওয়াল দুষ্কৃতীরা। আর স্যানিটাইজার পেটে যাওয়ায় মৃত্যু হল নির্যাতিতার। এমনই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে যোগীরাজ্যে। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নাবালিকার দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখান পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ২৭ জুলাই। সেদিন একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী স্কুল ছুটির পর একাই বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তার পথ আটকায় মঠ লখিমপুরের বাসিন্দা উদেশ রাঠোর নামে এক যুবক। ছাত্রীকে একা পেয়ে সেই সময় নাবালিকার শ্লীলতাহানির করে সে। এরপর ঘটনাস্থলে চলে আসে উদেশের আরও তিন বন্ধু। তাঁরাও নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। নাবালিকা চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু করলে জোর করে স্যানিটাইজার খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করে নাবালিকার ভাই। তাকেও অভিযুক্ত চার যুবক মারধোর করে বলে অভিযোগ।
এদিকে স্যানিটাইজার খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায তাকে সরকারি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাবালিকার। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে দিলে নাবালিকার দেহ রাস্তায় রেখে পথ অবরোধ করে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে পুলিশ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারি এবং উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এসপি রাহুল ভাটি জানান, যৌন হেনস্তার সময়ের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন অভিযুক্ত যুবকরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয় বলেও অভিযোগ। অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।