উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু মঙ্গলবার শুনানি শেষে চাকরি বাতিলের সেই নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দিল না বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিল আদালত।
এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত ডিভিশন বেঞ্চে বলেন, ‘সিঙ্গল বেঞ্চে তাঁদের কোনও কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি।’ পালটা বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, ‘এই মামলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট, প্রশিক্ষণ না থাকা এই বিষয়ের বোর্ডের বক্তব্য কী?’ বিচারপতি তালুকদার আরও বলেন, ‘একটা নিয়োগ হল, অথচ সেখানে নিয়ম মেনে টেস্ট হল না । সিঙ্গল বেঞ্চ তো সব ফেলে দেয়নি। আবার নতুন করে ইন্টারিভিউতে অসুবিধা কোথায়? এই নিয়োগের সঠিক নিয়ম কী?’ কাজ হারানোদের হয়ে এদিন সওয়াল করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গ্রুপ বি হিসাবে নিয়োগ পেয়ে কেউ যদি ট্রেনিং নিয়ে গ্রুপ এ-তে কারও উত্তরণ হয় তাঁর দোষ কোথায়? প্রত্যেকের কাছে ট্রেনিংয়ের বৈধ সংশাপত্র আছে।’
২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত শুক্রবার তারমধ্যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ।
প্রথমে এই সংখ্যা ৩৬ হাজার বলা হলেও পরে তা কিছুটা কমে। আদালতের টাইপোগ্রাফিকাল ভুলের জন্য তা হয় বলে জানা যায়। মঙ্গলবার সকালেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শুনানিতে জানিয়েছেন, চাকরি যাবে এমন প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা ৩২ হাজার।