উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আরব সাগরের উপরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১৫ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গুজরাটের কচ্ছ উপকূল ও পাকিস্তানের করাচির মাঝামাঝি অংশে আছড়ে পড়তে পারে বিপর্যয়’। ইতিমধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। রবিবার থেকেই মহারাষ্ট্র, গুজরাটে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। সোমবার থেকেই সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে সাইক্লোন সতর্কতা জারি করা হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে। আগামী বৃহস্পতিবার অবধি সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা নিয়ে এবার জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার দুপুর একটায় তিনি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌসম ভবনের আধিকারিক, গুজরাট প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফের কর্তারা। গুজরাটেই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, তা মোকাবিলায় কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেন মোদি।
আগামী তিন দিন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কচ্ছ, জামনগর, মোরবি, গির, পোরবন্দর ও দ্বারকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ল্যান্ডফলের সময়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার থাকতে পারে। গুজরাটের ভালসাদের জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত তিথাল বিচও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় গুজরাটের পাশাপাশি কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও লক্ষদ্বীপের মৎসজীবীদেরও আগামী তিনদিন সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গুজরাট প্রশাসনের তরফে কচ্ছ জেলার নীচু এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।