রায়গঞ্জ: শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলনে আবারও উত্তপ্ত রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় (Raiganj University) চত্বর। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষাকর্মী নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। উপাচার্য না থাকায় তাঁরা রেজিস্ট্রারকে (Registrar) স্মারকলিপি জমা দেন। আজও অধিকাংশ শিক্ষাকর্মী কাজে যোগ দেননি। ফলে কর্মীসংকটের মুখোমুখি হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই আন্দোলনের বিষয়ে সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির জেলা সভাপতি তপন নাগ বলেন , ‘অবিলম্বে অনৈতিকভাবে গঠিত এস্টেট অফিসারকে (Estate Officer) বাতিল করে পুরোনো সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই সঙ্গে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি ও ৫১ জনকে স্থায়ী পদে নিয়োগ করতে হবে। আমরা গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কাছে এই দাবিগুলি জানানোর জন্য অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করি, কিন্তু উনি আমাদের সঙ্গে দেখা না করে তালা বন্ধ করে ভেতরে বসেছিলেন। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি হন। কিন্তু আজ উপাচার্য (Vice Chancellor) জানালেন যে উনি আমাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অলিখিত কর্মবিরতি চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে বিজেপি (BJP) পার্টি অফিস করতে দেব না।’
অন্যদিকে, এদিন বিকেল ৪ টায় অতিথি অধ্যাপকদের (Guest Lecturer) নিয়ে উপাচার্য বসতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করে দেন । অধ্যাপকদের কথায়, শোকজের জবাব না দিলে উনি আমাদের সঙ্গে বৈঠকে (Meeting) বসবেন না। আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ২০ জন অতিথি অধ্যাপককে শোকজ করা হয়েছে। অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি রাগিব আলি মিনহজ জানান, ‘আগামী মঙ্গলবার আমরা জবাব দেব।’
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারী প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার রায়। রায়গঞ্জ থানার পুলিশের সাহায্যে মঙ্গলবার রাত ২ টো নাগাদ নিজের বাংলোতে ফেরেন তিনি। শিক্ষাকর্মী ও অতিথি অধ্যাপকদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ, উপাচার্য নিজের মর্জি মতো এস্টেট কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে বিজেপি প্রভাবিত শিক্ষক সমিতির এক অধ্যাপককে এস্টেট অফিসারের দায়িত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে অতিথি অধ্যাপকদের অভিযোগ ছিল, উপাচার্য নিজের গড়ে দেওয়া কমিটির সিদ্ধান্ত মানছেন না। সেই কারণেই তাঁদের এই আন্দোলন।