উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত বুধবার সরস্বতী পুজোর দিন টাকিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেদিনের ঘটনার বিবরণী জানিয়ে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটিকে চিঠি দেন তিনি। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিল্লিতে তলব করে রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ তিন পুলিশ আধিকারিককে। যাওয়ার কথা মুখ্যসচিবেরও। কিন্তু নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার-সহ রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা দিল্লি যাচ্ছেন না। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে (Lok sabha Speaker OM Birla) চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার এক দলীয় কর্মসূচিতে টাকি গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেদিন ধস্তাধস্তির মাঝে অসুস্থ হয়ে যান তিনি। সেদিনের ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটিকে চিঠি দেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্তের অভিযোগ, সন্দেশখালি ইস্যুতে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে পুলিশ। অন্যায়ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তাঁকে। এরপরই সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন লোকসভার অধ্যক্ষ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ ত্রিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি হোসেন মেহেদি রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় সংসদ ভবনে হাজির হতে বলে স্বাধিকার রক্ষা কমিটি।
রবিবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা এই মুহূর্তে দিল্লিতে হাজির হতে পারবেন না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে আগামী ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসছে। আর সেই কারণে মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ রাজ্য প্রশাসনের পাঁচ আধিকারিকের দিল্লি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। চিঠিতে দিন পিছোনোর আর্জিও জানানো হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে।