গৌরহরি দাস, কোচবিহার: পদ্মের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে কোচবিহারে। বিশেষ করে কোচবিহার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে এই পদ্মের সঙ্গে কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। দিঘির পদ্ম। কোচবিহার শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে রাজমাতাদিঘি। সেই দিঘি এখন ভরে গিয়েছে শ্বেতপদ্মে। পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই দিঘির জলে দেখা মিলছে পরিযায়ী পাখিদের। বর্তমানে পাখিদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠছে গোটা এলাকা। শহরের মধ্যে চোখের সামনে এমন মধুর প্রাকৃতিক দৃশ্য, যা দেখতে পেয়ে খুশি শহরের বাসিন্দারাও।
কোচবিহার শহরের মিনিবাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রাজরাজেন্দ্রনারায়ণ রোডের ধারে রয়েছে এই রাজমাতাদিঘি। এর উত্তর দিকে রয়েছে কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাজমাতা মন্দির। এই মন্দিরটি ১৮৮৪ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরেন্দ্রনারায়ণের স্ত্রী নিস্তারিণী দেবী প্রতিষ্ঠা করেন। মনে করা হয়, রাজমাতা মন্দিরের ধারে এই দিঘিটি হওয়ার কারণেই এই দিঘির এমন নামকরণ।
কোচবিহারের এই মন্দিরটি বেশ পুরোনো হওয়ায় এখানে প্রতিদিন পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। মন্দিরের পাশে দিঘিটি এখন পদ্মে ভরে ওঠায় মন্দির ও দিঘি দুটোই একসঙ্গে দেখতে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে দিঘি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রিংকু গুহ নিয়োগী বলছেন, ‘বাড়ি থেকে এমন দিঘিভরা পদ্ম দেখতে খুবই ভালো লাগে। মন্দির দেখতে প্রতিদিন যে পর্যটকরা আসেন, তাঁদের কাছে এই দিঘি এখন বাড়তি পাওনা।’
স্থানীয় কাউন্সিলার পম্পা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিটির একপাশে রাজমাতা মন্দির এবং অন্য পাশে শিশু উদ্যান ও মুক্তমঞ্চ রয়েছে। তার উপর দিঘির জলে প্রচুর কচ্ছপ রয়েছে। দিঘিটি এখন পদ্ম ফুলে ভরে গিয়েছে। পাশাপাশি পরিযায়ী পাখির দল হাজির হচ্ছে। এখন এর সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।’ তিনি আবেদন জানিয়েছেন, পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলতে দিঘির বাস্তুতন্ত্র বজায় রেখে আরও সৌন্দার্যায়ন করা হোক।