উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনায় ১২ জন তৃণমূল কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল রামপুরহাট আদালত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রামপুরহাটে এই সিপিএম কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। গত ২০ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতের বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস ১২ জন অধিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল হল তাঁদের। এদিনের রায়ে খুশি মৃতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরের দিন রামপুরহাট থানার সইপুর গ্রামে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা হুমায়ুন মীর(২৮)। অভিযোগ, এলাকার জনা কয়েক তৃণমূলকর্মী সমর্থক হুমায়ুনকে বাঁশ লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে। এই সিপিএম নেতাকে গুরুতরজখম অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। ২৪ জুলাই সেখানেই মৃত্যু হয় হুমায়ুনের।
এদিকে হুমায়ুনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই রামপুরহাট থানার সইপুর গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিনই রামপুরহাট থানায় ১৪ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন হুমায়ুনের বোন জেসমিনা খাতুন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রামপুরহাট মহকুমা আদালতে চলতে থাকে মামলা। মামলা চলাকালীন দুই অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। গত ২০ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতের বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস ১২ জন অধিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল হল তাঁদের।
রায়ের পর হুমায়ুনের বোন জেসমিনা খাতুন বলেন, “দশবছর অপেক্ষার পর অবশেষে বিচার পেলাম আমরা। নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল ওকে। দোষীদের ফাঁসি হলে আরও ভাল হত। তবে এই রায়েও আমরা খুশি।” পাশাপাশি তাঁদের আশঙ্কা, ১২ জন তৃণমূল কর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বাড়ি গেলেই তাঁদের উপর হামলা হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। কারণ সাজা ঘোষণার পরেই তাঁদের নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জেসমিনা খাতুন।