রাঙ্গালিবাজনা: সিকিমের চুংথাং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ কর্মী হিসেবে কাজে গিয়েছিলেন মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের রাঙ্গালিবাজনার হৃষিকেশ রায়। বুধবার ভোরবেলা থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। অজানা আশঙ্কায় কেঁদে ভাসাচ্ছেন ঋষিকেশের মা বাসন্তী রায়। ঋষিকেশের ভাই চিরঞ্জিত রায় জানান, মঙ্গলবার রাতেও দাদার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। এরপর থেকে তাঁর সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
এদিকে, পশ্চিম খয়েরবাড়ির মহম্মদ অফিউদ্দিনেরও খোঁজ নেই। বুধবার থেকে নাওয়া খাওয়া ছেড়েছেন তাঁর মা আমিনা বেগম। অফিউদ্দিনের ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘একনাগাড়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু দাদার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’
ইসলামাবাদ গ্রামের মহবুল আলম, মহবুল ইসলামরা রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন সিকিমে। বুধবার থেকে তাঁদেরও কোনও খোঁজ নেই। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না সেখানে আটকে পড়া ওই গ্রামের রেজ্জাক হোসেনের সঙ্গেও। তবে জোরথাং থেকে ওই গ্রামের মইনুল হক নামে এক যুবক জানান, তিনি বেঁচে গেলেও আটকে রয়েছেন। তবে কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন কোনও নিশ্চয়তা নেই। রাস্তাঘাট নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।