হরিশ্চন্দ্রপুরঃ র্যাশনের (Ration) সামগ্রী দেওয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট (fingerprints) নিয়ে নিয়েছেন ডিলার কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস ধরে র্যাশনের সামগ্রী পাচ্ছেন না উপভোক্তারা (Consumers)। সামগ্রী নিতে গেলেই ডিলার টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ। উপভোক্তাদের অভিযোগ, তাদের ন্যায্য সামগ্রী অন্যত্র পাচার করে চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন ডিলার। সম্প্রতি বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারপরেই নড়ে-চড়ে বসে প্রশাসন। বিডিওর নির্দেশে ডিলারের খোঁজে গেলেন খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের নিয়ামক। কিন্তু খোঁজ পাওয়া গেল না ডিলারের।
হরিশ্চন্দ্রপুর (Harischandrapur) ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর গ্রামের র্যাশন ডিলার শ্যামানন্দ সিনহা। বিষ্ণুপুর ও কাটাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা তাঁর কাছ থেকে র্যাশন সামগ্রী নেন। উপভোক্তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দুই মাস ধরে তাঁরা র্যাশনের সামগ্রী পাননি। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে স্লিপ দিয়ে দিয়েছেন ডিলার। এই নিয়ে তিন মাস হতে চলল। কিন্তু বারবার গেলেও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে গ্রাহকদের ঘুরিয়ে দিচ্ছেন ওই ডিলার। আর উপভোক্তাদের প্রাপ্য সামগ্রী পাচার করে বিক্রি করে দিচ্ছেন চড়া দামে। এই অভিযোগেই এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডলের কাছে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েই বিডিওর নির্দেশে ডিলারের খোঁজে তার বাড়িতে যান হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের খাদ্য দপ্তরের নিয়ামক হীরক ঘোষ। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে ওই অভিযুক্ত র্যাশন ডিলারকে পাওয়া যায়নি। গ্রামের লোকের অভিযোগ ব্লক থেকে লোক আসার কথা শুনে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। এমনকি তাঁর বাড়ির লোকেরাও শ্যামানন্দ সিনহা কোথায় রয়েছে সেই বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা কৌশল্যা দাস জানান, “আগে যখন আমাদের র্যাশনের সামগ্রী দিত তখন সম্পূর্ণ মাল দিত না। পাঁচটা র্যাশন কার্ডে এক কেজি করে মাল কেটে নেওয়া হত। ইদানিং একেবারেই মাল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিয়েছে, এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।” বিডিও সৌমেন মণ্ডল জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।