মালদা: মালদা মেডিকেলের (Malda medical college) ইমার্জেন্সির বাইরে কনকনে ঠান্ডায় ২৪ ঘণ্টা ধরে পড়ে থাকলেন প্রৌঢ়। বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে তাঁকে রাজ্যের যেকোনও মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছিল। সেই কাগজ নিয়ে মালদা মেডিকেলে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ভর্তি নেওয়া হয়নি। যদিও মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইমারজেন্সিতে (Emergency) ভর্তি হওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা হলেই রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বাসিন্দা শ্যামল দেবনাথ বুকে ব্যথার কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা করাচ্ছেন। বুকে টিউমার ধরা পড়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে রেফার করার কথা জানান। গত ৩ জানুয়ারি বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে রাজ্যের যেকোনও মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছিল শ্যামলবাবুকে। গতকাল সেই কাগজ সহ শ্যামলবাবুকে নিয়ে মালদা মেডিকেলে হাজির হয়েছিলেন তাঁর জামাই গোলাপ মহন্ত। অভিযোগ, গতকাল থেকে একাধিকবার শ্যামলবাবুকে মালদা মেডিকেলের ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলেও ভর্তি নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে বুকে ব্যথা নিয়েই কনকনে শীতের মধ্যে মেডিকেলের বাইরেই রাত কাটাতে হয়েছে শ্যামলবাবুকে। মালদা মেডিকেলের সুপার ও সহকারী অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর জানান, “শারীরিক অবস্থার বিচারে রোগীদের ইমারজেন্সিতে ভর্তি নেওয়া হয়। হয়তো ইমারজেন্সিতে ভরতি নেওয়ার মতো ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল না। সেই কারণেই ওনাকে আউটডোরে যেতে বলা হয়েছিল। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”