উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সর্দি-কাশি না লাগলেও নুন ও উষ্ণ গরম জলে গার্গেল করা উচিত। নিয়মিত গার্গেল করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কেন রোজ গার্গেল করা দরকার? জেনে নিন…
শরীরে পিএইচের ভারসাম্য ঠিক থাকে:
গলায় ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলির কারণে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। কিন্তু এই সব কিছুই আটকানো সম্ভব, যদি নিয়মিত নুন-জল দিয়ে গার্গল করা হয়। এমনটা করলে অ্যাসিডের প্রভাব কমতে থাকে। ফলে পিএইচ ভারসাম্য ঠিক থাকে, যে কারণে গলায় উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে:
কেবল মরশুম বদলের সময়েই নয়, দূষণের কারণেও ফুসফুসে সংক্রমণ হয়। দিনে তিন থেকে চার বার নুন-জল দিয়ে গার্গল করলেই সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। সঙ্গে নানা ধরনের ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ফুসফুসের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।
টনসিলাইটিসের প্রকোপ কমবে:
ব্যাক্টেরিয়া অথবা ভাইরাল সংক্রমণের কারণেই টনসিলে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে যন্ত্রণা শুরু হয়। নুন-জলে গার্গল করলে জীবাণুগুলি ধ্বংস হয়। ফলে টনসিলাইটিসের প্রকোপ কমে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়:
মূলত দু’টি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আর শরীরে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে একই ধরনের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই দুই ক্ষেত্রেই ঈষদুষ্ণ নুন-জলে গার্গল দারুণ কাজে আসে।
দাঁতের সমস্যা দূর হয়:
নুন-জলে নিয়মিত গার্গল করে দাঁতের ক্ষয় আটকাতে পারেন। নুনে থাকে বেশ কিছু খনিজ, যা দাঁতের জন্য উপকারী। সেই সঙ্গে দাঁতের একেবারে উপরের স্তর, এনামেলের ক্ষতিও রোধ করে, সে দিকেও নজর রাখে। দাঁতের ব্যথা হলেও এই টোটকা মেনে চললে আরাম মেলে।
