তমালিকা দে, শিলিগুড়ি: পছন্দের স্কুলে মেলেনি সুযোগ। দূরত্বের অজুহাত দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক পদ গ্রহণে নারাজ নতুন ‘প্রধান শিক্ষক’-দের একাংশ। সমস্যা মেটাতে দ্বিতীয় প্যানেল তৈরিতে তোড়জোড় শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের। সাতটি সার্কেল মিলিয়ে মোট ১৭টি প্রধান শিক্ষকের (Head Master) পদ খালি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রায় দু’দশক পর এবছর প্রাথমিকে নিয়োগ (Recruitment) করা হল প্রধান শিক্ষক। ৩৫৩টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য প্রায় ৪১৩ জন আবেদন করেছিলেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সার্কেল অনুযায়ী কাউন্সেলিং শুরু হয়। শুক্রবার শিলিগুড়ি পশ্চিম সার্কেল হয়ে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং শেষ হয়। তবে খালি ১৭টি আসনের জন্য কবে নতুন প্যানেল তৈরি হবে, সে বিষয়ে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সাংসদের চেয়ারম্যান দিলীপকুমার রায় বলেন, ‘বাতাসি সার্কেল বাদে বাকি ছয়টি সার্কেল থেকে প্রধান শিক্ষকের পদের জন্য অনেকেই আবেদন করেছিলেন। সেখান থেকে সরকারি নির্দেশিকা মেনে বাছাই করে প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ কাউন্সেলিংয়ে থেকেও প্রধান শিক্ষক হতে নারাজ।’
কিন্তু কেন এই অনীহা? চেয়ারম্যানের জবাব, ‘সম্ভবত নিজেদের পছন্দের স্কুল না পেয়েই এই সিদ্ধান্ত।’
এই পরিস্থিতিতে যে স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থেকে গেল, সেটা পূরণের জন্য অবিলম্বে দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন দিলীপ। জানা গিয়েছে, সাতটি সার্কেলের মধ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি নকশালবাড়ি সার্কেল ও নকশালবাড়ি সার্কেলের প্রধান শিক্ষকের সব পদ পূর্ণ হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের খালি পদ অনুযায়ী কম আবেদন পড়েছিল বাতাসি সার্কেল থেকে। এছাড়া, বিধাননগর ও ফাঁসিদেওয়া সার্কেল থেকে প্রধান শিক্ষকের জন্য মোট ৬টি পদ ফাঁকা রয়েছে।
এদিন হাকিমপাড়া জিএসএফপি স্কুলে সকাল থেকেই শিলিগুড়ি পশ্চিম সার্কেলের কাউন্সেলিং শুরু হয়। এদিন শুধুমাত্র একটি পদ খালি ছিল। কয়েকজন আবার কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত থেকেও ইচ্ছে করে নিজেদের অনুপস্থিত দেখিয়েছেন, যাতে প্যানেলে নাম থেকে যায়। পরবর্তীতে যদি নিজের পছন্দের স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ পাওয়া যায়।