চালসা: বেঁচে থাকার তাগিদে রোজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে নদী পার হয়ে বাজারে আনাজপাতি আনতে যেতে হয়। নৌকাতে করে নদী পার হওয়ার সময় নেই কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বর্ষার চার মাস এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় তাঁদের। দেখার কেউ নেই। মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালী বাতাবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত এলাকা ছাওয়াফেলি নয়া বস্তি। এলাকাটির একপাশে লাটাগুড়ির বনাঞ্চল অন্যপাশে নেওড়া নদী। বর্ষায় নৌকাতে করে নেওরা নদী পেরিয়ে সংলগ্ন কুমলাই এলাকার বাজারে গিয়ে আনাজপাতি আনতে হয়। মেটেলি ব্লক প্রশাসনের তরফে নৌকা দেওয়া হলেও নৌকায় যাতাযাতের জন্য নেই কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা, নেই লাইফ জ্যাকেট। ফলে নৌকাতে করে নদীর পার হওয়ার সময় যেকোনও সময় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। একই সমস্যায় পড়তে হয় ওই এলাকার স্কুল পড়ুয়াদেরও।
ছাওয়াফেলি নয়াবস্তি এলাকার এক বাসিন্দা রাজেন মুন্ডা বলেন, ‘বর্ষার মরশুমে চারমাস ছাওয়াফেলি নয়াবস্তি এলাকার জনগণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ওই নৌকায় নেওড়া নদী পার হয়ে যেতে হয়। এলাকাটি থেকে বড়দিঘি চা বাগান ও বাতাবাড়ি ফার্ম বাজার অনেকটাই দূর। তার উপরে রাস্তায় সবসময় বন্যপ্রাণীদের হামলার আশঙ্কা থাকে। নেওড়া নদী পার করলেই কুমলাই বাজার। ফলে কুমলাই বাজারে বাজার করতে সুবিধা হয়। বর্ষার চার মাস নেওড়া নদীতে জল থাকায় এভাবেই যাতায়াত করতে হয় আমাদের। নদীতে সেতু তৈরি করা হলে খুবই সুবিধা হয়।‘
উল্লেখ্য, মেটেলি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা এই ছাওয়াফেলি নয়াবস্তিতে প্রায় ৩০টি পরিবারের বসবাস। সকলেই তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের। গ্রাম ঘেষেই রয়েছে লাটাগুড়ি জঙ্গল। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত সদস্য রেজাউল বাকী বলেন, ‘ভোট প্রচারে এলাকায় গিয়ে জনগণের সমস্যার কথা শুনেছি। ওই এলাকার জনগণের জীবন জীবিকা খুবই কষ্টের। ওই এলাকার জনগণের সমস্যার যাতে সমাধান হয় সেই বিষয়ে চেষ্টা করা হবে।‘