নাগরাকাটা: ফের নতুন উদ্যোমে পথ চলা শুরু করল বানারহাটের (Banarhat) রিয়াবাড়ি চা বাগান (Riabari Tea Garden)। গত বুধবারের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মোতাবেক বৃহস্পতিবার থেকেই সেখানে কাজ শুরু হয়। ৪১ দিন পর আবার কাজ শুরুর প্রভাতী সাইরেন বেজে ওঠায় খুশি চা বাগানের শ্রমিকরা।
ম্যানেজার আনন্দ বসু বলেন, ‘প্রথম দিন অনেকের কাছে বাগান খোলার খবর সেভাবে না পৌঁছোনোর কারণে শ্রমিক (Tea worker) হাজিরা একটু কম ছিল। আশা করছি শুক্রবার থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর পেছনে তাকানো নয়। এখন শ্রমিকদের সহযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার পালা।’ এদিকে রিয়াবাড়ি খুললেও এখনও ঝুলেই রইল মেখলিগঞ্জের বংশীধাম (banshidham tea estate) ও লাটাগুড়ি চা বাগানের (Lataguri tea garden) শ্রমিকদের ভাগ্য। এদিন শ্রম দপ্তর দুই বাগান নিয়ে বৈঠক ডাকলেও লাভ হয়নি। বংশীধামের মালিকপক্ষ হাজিরই হননি বৈঠকে।
এদিন রিয়াবাড়িতে কাজ শুরুর আগে সবকটি শ্রমিক সংগঠন মিলে গেট মিটিং করে। সেখানে বাগান চালু ও চুক্তির বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় টি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের রিয়াবাড়ি ইউনিট কমিটির সভাপতি রাতিয়া ওরাওঁ বলেন, ‘কেউই চায় না একদিনও কোনও বাগান বন্ধ থাকুক। ফের বাগান খুলে যাওয়ায় শ্রমিকরা সন্তুষ্ট।’ তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের বাগান ইউনিটের সভাপতি কুমার বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আগে কি হয়েছে তা স্মরণে রাখতে চাই না। শ্রমিকরা তাঁদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রেখেই চলবে। মালিকপক্ষও শ্রমিক স্বার্থে কাজ করবে বলেই আমাদের প্রত্যেকের আশা।’
কোচবিহারের বংশীধাম নামে প্রোজেক্ট বাগানটি বন্ধ প্রায় দেড় মাস ধরে। এদিন কোচবিহারের জয়েন্ট লেবার কমিশনারের দপ্তরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হলেও মালিকপক্ষ গরহাজির থাকে। তাঁরা আসতে পারবে না বলে শ্রম দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়। সেকথা জানতে পেরে শ্রমিক প্রতিনিধিরাও মেখলিগঞ্জ থেকে আর কোচবিহারে আসেননি। জয়েন্ট লেবার কমিশনার সুমন্ত রায় বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকছে।’ অন্যদিকে, লাটাগুড়ি চা বাগান নিয়ে মালবাজারের সহকারী শ্রম কমিশনার প্রণব কুমার দাসের দপ্তরে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানেও বাগান কবে থেকে খুলবে সেবিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।