চাঁচল: বড়দিনের সন্ধ্যায় নামকরা সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে চাঁচলে। জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ কোটি টাকার গয়না লুঠ হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা হতে চললেও অধরা দুষ্কৃতীরা। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ জেলার ব্যবসায়ী সংগঠন। ইমেল মারফত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল চাঁচল বাজারের একটি সোনার দোকানে হানা দেয় পাঁচজনের সশস্ত্র ডাকাত দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলে আরও তিনজন দুষ্কৃতী ছিল। যারা বাইরের রাস্তায় পাহারায় ছিল। বন্দুক উঁচিয়ে ঢুকে ১৫ মিনিটের মধ্যে কর্মরত কর্মীদের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে সমস্ত গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দল। ডাকাত দল যেতেই আশেপাশে থাকা ব্যবসায়ী এবং এলাকার মানুষেরা দোকানের সামনে ভিড় জমায়। চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোতেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। রাত থেকে পুলিশ তল্লাশি শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা হয়নি। বাংলা বিহার সীমান্তে নাকা চেক পয়েন্টগুলিতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ডাকাতির ঘটনায় বিহার যোগের সম্ভাবনা প্রবল। ডাকাতির সময় ডাকাতদের কথোপকথন হিন্দি ভাষায় ছিল বলে কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সোনার দোকানের কর্তৃপক্ষের তরফে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, ৯ কেজি সোনা, ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম রুপো এবং দশ ক্যারেট হিরে নিয়ে পালিয়েছে ডাকাত দল। যেগুলির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এদিকে ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। এদিন চাঁচলের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রাখেন।
মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও এই ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে ব্যবসায়ীদের নিয়ে চাঁচল নেতাজি মোড়ে একটি পথসভা করে পুলিশের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের তরফে পুলিশকে ডাকাতদের গ্রেপ্তারির জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। অন্যথা জেলাজুড়ে বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চাঁচল বিজেপির তরফেও এদিন দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিজেপি নেতা সুমিত সরকারের অভিযোগ, মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই। এই ঘটনা পুলিশের ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।