মালবাজার: অচলাবস্থা জারি রয়েছে মাল ব্লকের সাইলি চা বাগানে (Saili tea garden)। মঙ্গলবার সকালে বন্ধ কারখানার গেটের সামনে শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক হয়। এরপর একটি স্মারকলিপি মাল বাজারের সহকারী শ্রম ও আধিকারিকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এদিকে ক্রান্তি ব্লকের পারুল (Parul tea garden) নামে একটি প্রোজেক্ট চা বাগানে গত ২৩ নভেম্বর থেকে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক জারি ছিল। এদিন মালবাজারের (Malbazar) সহকারী শ্রম আধিকারিকের দপ্তরে এই বাগান নিয়েও বৈঠক হয়। সহকারী শ্রম আধিকারিক প্রণব কুমার দাস বলেন, ‘ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পারুল চা বাগানে শুক্রবার থেকে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে।’ পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘আমরা সাইলি চা বাগান নিয়েও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার চেষ্টা করছি।’
সোমবার থেকে সাইলি চা বাগানে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ জারি করে মালিকপক্ষ বাগান ছেড়েছে। এনিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমান মালিকপক্ষ শ্রমিকদের পাওনা-গন্ডা না মিটিয়েই বাগান ছেড়েছেন। বাগানের গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড সহ নানা ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে।
অন্যদিকে, ক্রান্তির পারুল চা বাগানের বৈঠকে আইএনটিটিইউসি’র (INTTUC) জলপাইগুড়ি জেলার নতুন সভাপতি তপন দে সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বাগানের মালিক পক্ষের সংগঠন আইটিপি’র অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘শুক্রবার থেকে বাগানে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে। জমি সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে আলোচিত হবে।’ বাগানের মালিক পক্ষের আনন্দ কুমার টিব্রেওয়াল অবশ্য, বৈঠক এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই বাগানে ১৫০ একরের বেশি জমি রয়েছে। ১২৫ জনের বেশি শ্রমিক এখানে রয়েছেন।