উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় এর আগে উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি, এবার সন্দেশখালির মহিলারা ফের পথে নামল ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়া নিয়ে। অভিযোগ, যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না, অথচ যাঁরা এ রাজ্যে কাজই করেন না, তাঁরা টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির ইন্ধনে ভোটের আগে এই নাটক করছেন মহিলাদের একাংশ।
সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে গারদে দিন কাটাচ্ছেন শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার। আবারও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার মহিলারা। শুক্রবার সকাল থেকেই সামনে আসছে সেই ছবি। এবার ভিন্ন অভিযোগ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। তিনি রাজ্যের কোষাগার থেকে সেই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে সেই টাকা পেতে শুরু করেছেন ১০০ দিনের কাজ করা কর্মীরা। আর সেই টাকা নিয়েই নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে সন্দেশখালিতে।
সন্দেশখালির নিত্যবেড়িয়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০২২ সালে কাজ হয়েছিল ১৬ দিন। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পরিজনদের নামে ১০০ দিনের কাজ করার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যিনি ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন, তিনিও তৃণমূল নেতৃত্বের বদান্যতায় টাকা পেয়েছেন। সুপারভাইজারের বরুণ কুমার দাসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দুখীরাম সর্দার, সমীর দাসরা।
আরও এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, “জীবনে কোনও দিন ১০০ দিনের কাজ করেনি এমন এক দম্পতিও পেয়েছেন টাকা। তৃণমূল নেতৃত্ব ঠাণ্ডা ঘরে বসে ঠিক করে দেয় কে কে টাকা পাবে।”
জেলার তৃণমূল নেতা ভাস্কর মিত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ওগুলো ভুল ধারনা। মুখ্যমন্ত্রী অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে। বিজেপির ইন্ধনে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।”