ক্রান্তি: তিস্তার ভাঙনে স্কুলের ভবন তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে একটি টিনের ঘরে তারপর থেকে পড়াশোনা চলছে। তবে সেখানে শৌচাগার বা পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। পরিকাঠামোগত সমস্যার জেরে শীত–গ্রীষ্ম–বর্ষা, প্রেমগঞ্জ মাঝিয়ালি বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভোগান্তি লেগেই থাকে। স্কুল ভবনের জন্য বিভিন্ন মহলের কাছে দরবার করা হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক অমলকুমার ঘোষ জানিয়েছেন। মাল সাউথের বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্জিতকুমার সেন বলেন, ‘এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’
২০১৪ সালে তিস্তার ভয়াবহ জলস্ফীতিতে ক্রান্তি ব্লকে এই স্কুলটির ভবন নিশ্চিহ্ন হয়। বাধ্য হয়ে চাঁপাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব সেঙ্গপাড়ায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে স্কুলটি চলতে থাকে। কিন্তু সেখানে স্কুল চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। গ্রামবাসীরা স্কুলের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পাশে জায়গা দান করেন। সেখানে একটি টিনের ঘর গড়ে ২০১৫ সাল থেকে স্কুলটি চালানো শুরু হয়।
তবে ঘরটির একটি পাশ পুরোপুরিভাবে খোলা থাকায় বিভিন্ন মরশুমে পড়ুয়াদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। পড়ুয়ারা সমস্যায় ভোগায় অভিভাবক গোলাপি খাতুন, মর্জিনা বেগমের মতো অনেকেই সরব। হামিদা বেগম, লোবা ইসলামদের মতো অনেকেই তাঁদের সন্তানদের পাশের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেছেন। শিক্ষক প্রণব রায়, অসীমকুমার রায়রা জানান, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তাঁদের কাছে তিস্তার চরই ভরসা।