আসানসোল: রবিবার নির্বাচনি প্রচারকে ঘিরে ঝামেলায় জড়ালেন বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী- সমর্থকরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জের রতিবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বচসা ও হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে রানিগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় শাসক ও বিরোধী দল একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
রবিবার বেলা বারোটা নাগাদ প্রচার কর্মসূচিতে রানিগঞ্জের রতিবাটি এলাকায় আসেন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী ও সমর্থক। সেই সময়ে তাঁদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে এই কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি বিনোদ নুনিয়ার নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে আটকে দেন। দলের সমর্থক ও প্রার্থীদের মারধরও করা হয় বলে দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক।
পরে এই অভিযোগ তুলে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ দেও। এই সময় বেশ কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক কালো পতাকা দেখিয়ে, অগ্নিমিত্রা পাল “গো ব্যাক ও চোর” স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা বিজেপির কর্মীরাও স্লোগান দেন। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিকে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ খারিজ করে দেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি বিনোদ নুনিয়া। তাঁর দাবি, বাইরের থেকে দলবল এনে বিজেপির কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। তাঁদের দলের ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আর এর সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গালিগালাজ করছিল। তাই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে বলে তাঁর দাবি।
যদিও অগ্নিমিত্রা পাল দাবি করেন, ‘তৃণমূল নেতা বিনোদ নুনিয়া একজন সমাজবিরোধী। সে বহুবার আমাকে আটকেছে ও হেনস্তা করেছে। এবারও সে আমাদের কর্মীদের মারধর করে। এমনকি মহিলাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছে।’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন বিনোদ নুনিয়া। পুলিশ জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে।