উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল। বৃহস্পতিবার রাতভর চলল সেনা ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল সেনা।
সেনা সূত্রে খবর, মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় গুলিতে নিহত এক প্রাক্তন নৌসেনা কর্তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ইম্ফলে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন। জমায়েতের নেতৃত্ব ছিলেন মহিলারা। প্রথমে ওই আধিকারিকের দেহ ইম্ফলের জনবহুল খোয়াইরামবন্দ বাজারে আনা হয়। পরে দেহটি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনের সামনে দিয়ে মিছিল করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় উন্মত্ত জনতা। পুলিশ যাতে তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারে, তাই রাস্তার মাঝে টায়ারও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় সেনা এবং পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ওই নৌসেনা কর্তার দেহ ‘জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স‘-এর মর্গে পাঠানো হয়।
মণিপুরে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা হিংসায় মৃতের সংখ্যা অনেক আগেই একশো পার করেছে। ঘরছাড়া রয়েছেন বহু মানুষ। গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক করেন। তবে পরিস্থিতিতে কোনও বদল আসেনি। গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তপশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই থেকেই মণিপুরে সংঘাতের সূত্রপাত। ইতিমধ্যেই মণিপুরে বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠন। এমনকি পৃথক রাজ্যের দাবিও তুলেছে কুকিরা।