শিলিগুড়ি: মাদক উদ্ধারে গিয়ে একবার পুলিশ কর্মীকে কামড় খেতে হয়েছিল। আবার কখনও একজনকে গ্রেপ্তার করতে গেলে গোটা পাড়া উঠে এসে পুলিশকে রোখার চেষ্টা করে। সেইসময় প্রমাণের অভাবে অনেকেই পার পেয়ে যায়। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হলে যারা মাস্টার মাইন্ড তাদের কোনও ছবি না থাকায় সমস্যায় পরতে হয় পুলিশকে। তাই সমস্ত দিক চিন্তা করে মাটিগাড়া থানা এলাকার বিশ্বাস কলোনী ওরফে পাকিস্তান বস্তিকে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দিল পুলিশ। বিশ্বাস কলোনীর প্রতিটি গলিতে এবং প্রধান সড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানা। শুধু ওই এলাকাই নয় মাটিগাড়া থানার পালপাাড়া মোড় থেকে মাল্লাগুড়ি পুলিশ লাইনের গেট, খাপরাইল মোড় থেকে খাপরাইল বাজার এলাকাতেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। গোটা এলাকাজুড়ে মোট ৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ওই ক্যামেরাগুলির কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে মাটিগাড়া থানায়।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী এদিন ওই ক্যামেরার কন্ট্রোলরুমের উদ্বোধন করেছেন। পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এতে আমাদের তদন্তে আরও বেশি সুবিধা হবে।
শিলিগুড়ি শহরের মাদক কারবারের অন্যতম ঘাটি এই বিশ্বাস কলোনী। বাইরে থেকে যত মাদক ঢোকে শহরে সবটাই যায় এই কলোনীতে। এরপর সেখান থেকে মাদক শহরের বিভিন্ন জাযগায় পাঠানো হয়। গত ছয় মাসে অন্তত ৫০ জনকে এই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই এলাকাতে অভিযানে গিয়ে পুলিশকেও একাধিকবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তাই প্রথম বিশ্বাস কলোনী থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, খাপরাইল বাজার এলাকা মাটিগাড়া থানা থেকে অনেকটাই দূরে। তাই ওই এলাকায় কিছু ঘটলে পুলিশের পৌঁছোতে কিছুটা সময় লাগে। এই সময়কালে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে যাতে ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায় তাই ওই এলাকাতেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।