উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সীমাকে নিয়ে যেন জল্পনার শেষ নেই। সামান্য পাক বধূ হয়ে ভারতে এলেও, তিনি যে সাধারণ বধূ বা মহিলা নন তা এতদিনে হয়তো সকলেই বুঝে গেছেন। তবে তিনি আদতে কে? সেই রহস্যের জট খুলতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস ও গোয়েন্দারা। তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কোনও চর কি না তা জানতে ব্যস্ত গোয়েন্দারা। এরমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে ভারতে থাকার আর্জি জানিয়ে ফের খবরের শিরোনামে সীমা হায়দার।
সীমা যে পাক গুপ্তচর নন, তা তিনি বারবার বলেছেন। নিজের ব্যাপারে একাধিকবার সাফাই দিয়েছেন। কিন্তু সীমার বিষয়ে উদ্ধার হওয়া একাধিক তথ্য সন্দেহের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে গোয়েন্দাদের। তিনি যে পাক চর, সেই দাবি উঠতেই মোদি ও যোগীর কাছে অদ্ভুত আর্জি জানিয়ে বসেন সীমা। এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারের বলেন, ‘যদি পাকিস্তানের কেউ জানতেন যে, আমি ভারতে যাচ্ছি, তা হলে ওঁরা আমাকে মেরে ফেলতেন। আমি কোনও চর নই। সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে। মোদিজি এবং যোগীজির কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাবেন না।‘ ভারতে অবৈধভাবে ঢোকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার কোনও উপায় ছিল না। পাকিস্তানে থাকতে চাইনি। তাই চলে এসেছি। শুধু তাই-ই নয়, আমি কিন্তু অতীতের কোনও তথ্য গোপন করিনি।‘
প্রসঙ্গত, পাবজি খেলতে গিয়ে পাকিস্তানের সীমার হায়দারের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার রবুপুরা এলাকার সচিন মীণার পরিচয় হয়। তারপর প্রেম, বিয়ে। প্রেমের টানেই নাকি ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সীমা হায়দার। অবৈধভাবে ঢোকার জন্য গত ৪ জুলাই সীমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও পরে জামিন পেয়ে যান তিনি। তবে সীমাকে নিয়ে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। তারপর থেকেই সীমা কে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই রহস্যের জট খুলতেই মরিয়া ভারতীয় গোয়েন্দারা।