উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কথা দিয়ে কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’ (PM Narendra Modi)। সিএএ (CAA) কার্যকর হতেই মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা সেই পাকবধূ সীমা হায়দার (Seema Haider)।
সোমবার কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তার পরেই ভিডিও বার্তায় সীমা বলেন, ‘ভারত সরকার আমাদের দেশে সিএএ কার্যকর করেছে। আমরা এতে খুব খুশি এবং এর জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানাই। সত্যিই মোদিজি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা করেছেন। আমি সারাজীবন তাঁদের কাছে ঋণী থাকব। এই আইনের জন্যই আমার নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে সব জট কেটে যাবে।’ এরপরই ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানও তোলেন সীমা।
তবে সিএএ থেকে এখনই সরাসরি লাভবান হতে পারবেন না সীমা হায়দার। আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এদেশে আসা ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নির্যাতিত শরণার্থীরা ভিসা বা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলে তবেই আবেদন করতে পারবেন শরণার্থীরা। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। ফলে পাকিস্তান থেকে ভারতে এলেও আইনের সুবিধা পাবেন না সীমা। সীমা যেহেতু ২০১৪ সালের পরে ভারতে এসেছেন এবং তখন তিনি মুসলিম ছিলেন, তাই তাঁর সিএএ থেকে সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে কোনও সুযোগ থাকছে না। তবুও মোদি সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি সীমা।
গতবছরই ভারতীয় যুবক শচীন মিনার প্রেমের টানে চার সন্তানকে নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন পাক বধূ সীমা হায়দর। অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে সীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন। তবে এখনও সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।