গৌতম সরকার, চ্যাংরাবান্ধা: বাংলাদেশের জেলে আট বছর বন্দি থাকার পর অবশেষে ফেসবুকের দৌলতে দ্রুত দেশে ফিরলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ট্রাকচালক আশিক খাদাল। মঙ্গলবার কোচবিহার (Coochbehar) জেলার চ্যাংরাবান্ধা (Changrabandha) ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আশিককে ভারতীয় প্রশাসনের কর্তাদের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের বুড়িমারি স্থলবন্দরের প্রশাসনের কর্তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিন আশিক জানান, তিনি পেশায় ট্রাকচালক। ২০১৬ সালে অন্যের বোল্ডারবোঝাই ট্রাক নিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন। ভুটান থেকে নিয়ে যাওয়া বোল্ডার বুড়িমারি স্থলবন্দরে নামিয়ে রাখার আগেই তার ট্রাক থেকে ২৪ বোতল মদ উদ্ধার করে বিজিবি। কিন্তু ট্রাকের মধ্যে মদের বোতল রাখা ছিল, তা তিনি জানতেন না বলেই দাবি করেন। এরপর বিজিবি তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দিলে তাঁর ঠিকানা হয় রংপুর জেল। কিন্তু সেই সময় তাঁর জেলবন্দির খবর জানত না পরিবার। এদিকে, হন্যে হয়ে আশিকের খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজনও।
ঘটনাচক্র আশিকের সঙ্গে জেলে বন্দি ছিলেন বাংলাদেশের এক নাগরিক রবীন খানও। জেলেই আশিকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। এর মধ্যেই রবীনের সাজার মেয়াদ শেষ হয়। ছাড়া পেতেই নিজের ফেসবুকে আশিকের জেলবন্দি থাকার ঘটনার কথা পোস্ট করেন রবীন। সেই পোস্ট নজরে আসে আশিকের পরিবারের। এরপরই আশিককে ফেরাতে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে যান তাঁরা। বিভিন্ন মহল ঘুরেও ব্যর্থ হন। এরপরই বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া শীতলকুচির এক যুবকের কথামতো পুলিশ, জেলা প্রশাসন সহ রাইটার্স বিল্ডিংয়ের দারস্থ হন আশিকের পরিবারের লোকজন।