বানারহাট ও বীরপাড়া: গতকাল রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা। প্রবল বৃষ্টিতে ভুটান ও তার পাদদেশে বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০০টি পরিবার জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। হাতিনালা দিয়ে আসা জল বিন্নাগুড়ির এসএম কলোনি, নেতাজীপাড়া এলাকায় ঢুকে জলমগ্ন হয়ে যায় ১৫০-র বেশি পরিবার। এছাড়া লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের টিন লাইন, মসজিদ লাইন, প্রেমনগর ৫০টি পরিবার। প্রত্যেকটি ঘরের ভিতরে হাটু সমান জল, যাতায়াতের রাস্তাগুলি বৃষ্টির জলে নদীর আকার নেয়। যার ফলে দিনভর বন্ধ থাকল রান্না। হতিনালার জলে ডুবে যায় তেলিপাড়া, বিন্নাগুড়ি, লক্ষ্মীপাড়া, রিয়াবাড়ি, ডায়না চা বাগানের বিভিন্ন সেকশন। যদিও দুপুরের পরে জল ধীরে ধীরে কমে গেলেও সমস্যার মধ্যে থাকে এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্লাবিত আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার বিভিন্ন এলাকা। বীরপাড়ার কলেজপাড়া, সুভাষপল্লী, নিউ লাইনে বাড়ি বাড়ি জল ঢুকে পড়েছে। উনুনের জল ঢুকে যাওয়ায় রান্না বন্ধ অনেকের বাড়িতে। স্থানীয়রা জানান, বীরপাড়ায় নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকালে জলবন্দী হয়ে পড়েন তাঁরা। নালায় আবর্জনার স্তূপ জমেছে। তাদের অভিযোগ, নালাগুলি নিয়মিত সাফাই করা হয় না। ফলে নালা দিয়ে জল নিকাশ করা যাচ্ছে না। এদিকে এলাকা ঘুরে জানা গিয়েছে নিকাশি ব্যবস্থার কথা মাথায় না রেখে বিধি ভেঙে যত্রতত্র বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে বীরপাড়ায়। ফলে নিকাশি ব্যবস্থা আরও ভেঙে পড়ছে।
এদিকে, ভুটান সীমান্তের কাছে রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে জল বইতে শুরু করায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছে মাকড়াপাড়া চা বাগান। স্থানীয়রা জানান, ভুটান পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে জল নেমে আসায় বিপাকে পড়েন তাঁরা। আবার নালা উপচে এথেলবাড়িতে ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ের ওপর দিয়ে জল বয়ে যেতে থাকে। এথেলবাড়িরও বেশ একাধিক এলাকা জলমগ্ন। চারো, ডিমডিমা, ধুমচিখোলা নদীগুলিতে জল বাড়ায় বিচ্ছিন্ন ঢেকলাপাড়া, বান্দাপানি চা বাগানগুলি।