পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: সেবক-রংপো রেলপথের (Sevoke Rangpo Railway) কাজ পরিদর্শন করলেন ভারতীয় রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান (Railway Board Chairman) জয়া বর্মা সিনহা। পাশাপাশি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (Darjeeling Himalayan Railway) হেরিটেজ টয়ট্রেন (Toy Train), ইঞ্জিন, স্টেশন, ওয়ার্কশপ ঘুরে দেখেন তিনি। গত ৩ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা তিনদিন ধরে এই পরিদর্শন চলে। দিনরাত এক করে পাহাড়ি এলাকায় সেবক-রংপো রেলপথের কাজ চলছে। বর্ষা শুরুর আগে কাজ অনেকটাই শেষ করে রাখতে চায় রেল।
রেল সূত্রে খবর, এবছরই পুজোর সময় কিংবা শীতের আগে সেবক-রংপো রেল পরিষেবা চালু করে দেওয়ার জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। রেলপথটি ৪৫ কিমির। যার মধ্যে ৩৮.৫৩ কিমি রেলপথ ১৪টি টানেলের মধ্যে দিয়ে যাবে। দীর্ঘতম টানেলের দৈর্ঘ ৫.৩ কিমি। ৫টি রেলস্টেশন ও ১৭টি সেতু থাকবে পথে। সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে টানেলগুলি বানানো হয়েছে। ভেতরে এমনভাবে কাজ করা হয়েছে, যাতে স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করা যায়। পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকছে টানেলে। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান তিস্তাবাজারের সামনে থাকা ৭ নম্বর টানেল ঘুরে দেখেন। ১৪টি টানেলের কাজের ৯২ শতাংশ শেষ করেছে রেল।
অন্যদিকে, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ইউনেসকো হেরিটেজ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত টয়ট্রেনের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সংরক্ষণে মনোযোগ দেওয়া হবে বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান। তাঁর সংযোজন, ভূমিকম্পপ্রবণ ও দুর্বল পাহাড়ি এলাকায় টানেল করে সেবক-রংপো রেলপথের কাজে সুরক্ষা ও স্থায়িত্ব বজায় রাখতে নিউ অস্ট্রিয়ান টানেল পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়েছে।