মাথাভাঙ্গাঃ এলাকার এক পথ কুকুরের মৃত্যুতে রবিবার শোকাহত মাথাভাঙ্গা শহরের সিটিম মাঠ সংলগ্ন এলাকা। এলাকার বাসিন্দাদের অত্যন্ত প্রিয় ছিল পথকুকুরটি। স্থানীয়রাই কুকুরটির নাম রেখেছিলেন কালিয়া। এদিন সকালে কালিয়াকে রাস্তার পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের প্রিয় কালিয়াকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকাবাসীর অভিযোগ খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে কালিয়াকে। এলাকার বাসিন্দারা মাথাভাঙ্গা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পড়ে এলাকার বাসিন্দারা দলবদ্ধ হয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কুকুরের দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মাথাভাঙ্গা প্রাণিসম্পদ বিকাশ কেন্দ্রে। মাথাভাঙ্গা থানার আইসি হেমন্ত শর্মা বলেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে কুকুরটি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এলাকার বাসিন্দা মনোজ ঘোষ বলেন, ২০১৯ সাল থেকে মাথাভাঙ্গা শহরের সিটিম গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় ছিল কুকুরটি। সেদিনের কুকুরছানা সকলের আদর যত্নে বড় হয়ে ওঠে। এলাকার সমস্ত বাড়িতেই ছিল তার অবাধ বিচরণ। বয়স একটু বাড়তেই গোটা এলাকা পাহারার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিল সে। রাতের বেলা এলাকায় সন্দেহভাজন কাউকে ঢুকতে দেখলেই চিৎকার শুরু করে দিত। তার ভয়ে এলাকায় রাতের বেলায় কোন চুরির ঘটনা ঘটেনি বিগত কয়েক বছরে। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, যদি কেউ খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে কালিয়াকে মেরে থাকে তবে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথাও বলেন। মাথাভাঙ্গা থানার আইসি হেমন্ত শর্মা বলেন এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জিডি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।