তপন বকসি, মুম্বই: বাবাকে অনুসরণ করে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখতেই এবার জমিও কিনে ফেললেন শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান। এবছর নভেম্বর মাসে সুহানা খানের অভিনয় জীবনের প্রথম ছবি ‘দ্য আর্চিস’ রিলিজ হওয়ার কথা। তবে রুপালি পর্দার অভিনেত্রী হিসেবে জীবন শুরু করার আগেই শাহরুখের আলিবাগের ফার্ম হাউসের পাশে ১২ কোটি ৯১ লক্ষ টাকায় দেড় একর জমি কিনলেন সুহানা। দক্ষিণ মুম্বইয়ের অদূরে আলিবাগের থল গ্রামে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী দুর্গা খোটের এক আত্মীয়ের জমি ছিল এটি। তিন বোন- অঞ্জলি, রেখা এবং প্রিয়া খোট উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন জমিটি। সেটিই তাঁরা বিক্রি করে দিয়েছেন সুহানাকে।
জানা গিয়েছে, ১ জুন সুহানা খান এই সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করেন ৭৭ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকায়। রেজিস্ট্রেশনের কাগজে অভিনেত্রীকে কৃষিবিদ হিসাবে দেখানো রয়েছে। যদিও এই জমি কেনার উদ্দেশ্য যদিও অজানা। আর্থিক লেনদেনের হিসাব অনুযায়ী, আড়াই বিঘা ফসলি জমি এবং ২২১৮ বর্গ ফুটের নির্মাণ রয়েছে সেখানে।
মুম্বই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের ৩ ঘণ্টার যাত্রাপথে আলিবাগ মুম্বই শহরের কংক্রিট জঙ্গলের বাইরে বেরিয়ে সবুজ গাছ গাছালি আর সামুদ্রিক উপত্যকায় বুকভরা অক্সিজেন নেওয়ার এক মনোরম জায়গা। বেশ কয়েক বছর আগে এই আলিবাগের সামুদ্রিক উপত্যকায় শাহরুখ খান বাগান, সুইমিং পুল সমেত ২০,০০০ বর্গমিটারের ওপর বাংলো কিনেছিলেন ২৫০ কোটি টাকায়। আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে শাহরুখের সুইমিং পুল ও বাগান সমেত বাংলোটি চাষযোগ্য ফসলি জমির ওপর মহারাষ্ট্রের কালেক্টরের অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আলিবাগের সামুদ্রিক উপত্যকায় চাষযোগ্য ওই জমিতে চাষাবাদের জন্যই কেনা হচ্ছে বলে চুক্তিতে উল্লেখ ছিল। পরবর্তীকালে ওই জমিতে ফার্ম হাউস তৈরি করা হয়। তাই নিয়ে মহারাষ্ট্রের কৃষিজমি আইনভঙ্গের আওতায় পরে শাহরুখের এই সম্পত্তি।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে আলিবাগের শাহরুখের এই সম্পত্তির সঠিক কাগজপত্র না থাকায় শাহরুখের এই সম্পত্তিকে ‘বেনামি’ ঘোষণা করে মহারাষ্ট্রের আয়কর দপ্তর। মহারাষ্ট্রের আয়কর দপ্তর থেকে শাহরুখ খানের এই ফার্মহাউস ‘দেজা ভ্যু ফার্মস প্রাইভেট লিমিটেড’-কে আয়কর দপ্তর থেকে সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়।