কোচবিহার: কোচবিহার (Cooch Behar) শহরে হেরিটেজের কাজ নিয়ে ও কমিটি নিয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুললেন। একই সঙ্গে দিনহাটায় ২০০৮ সালের গুলি কাণ্ডের ঘটনা ভোটের মুখে ফের উসকে দিলেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। হেরিটেজের কাজ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাজ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও তোলা হয়েছে।
শমীক শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ‘হেরিটেজ কমিটিতে বিজেপির বিধায়ককে রাখা হয়নি। অথচ এই শহরের তিনি বিধায়ক। হেরিটেজের কাজের কেন্দ্রীয় সরকারের বিপুল অর্থ কীভাবে খরচ করা হচ্ছে তার শ্বেতপত্র নেই। কোচবিহারের মানুষ কী পেয়েছেন কী পাননি তার হিসেবনিকেশ হবে। এই কথার মধ্য দিয়ে তিনি ঘুরিয়ে হেরিটেজের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। শমীক বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন। রাজবংশী, কামতাপুরি সকলকে ভেঙে টুকরো করে দেওয়া হচ্ছে।’ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ বা দপ্তর কী কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের টাকা ঠিকভাবে খরচ হয় না বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, ‘এতদিনে মাত্র ২৪ শতাংশ টাকা গড়ে খরচা হয় না। একবার ৪০ শতাংশ টাকা খরচা হয়েছে। উত্তরকন্যায় কী কাজ হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন নিয়ম করে এখানে সব কাজ হবে। কোনও কাজ করতে এখানকার মানুষকে কলকাতায় যেতে হবে না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের টাকা ও কাজ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।’
কোচবিহারের মধ্যে একটা বিশেষ ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। কোভিড কালে এখানে মডিউলের সংখ্যা বেড়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। শমীক বলেন, ‘উদয়নবাবু ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ছিলেন। তিনি কীসের ভয়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন? দিনহাটায় গুলি চলল। পাঁচজন শহিদ হয়েছেন। তাঁদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। দিনহাটার রিপোর্ট কেন এখনও প্রকাশ করা হল না। উদয়ন গুহ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে তার উত্তর দিতে হবে, তৃণমূল কংগ্রেসকে দিতে হবে। ২১ জুলাইয়ের তদন্ত বন্ধ রয়েছে। সেই কমিশনের কী হয়েছে তা কেউ জানে না।’ শমীকের বক্তব্যের বিষয়ে উদয়ন বলেন, ‘ও মূর্খের মতো কথা বলছে। এটা রাজনৈতিক অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়।’