কলকাতা: আদিবাসীদের জমি দখল করতেন শেখ শাহজাহান। সেখান থেকে অর্জিত কালো টাকা চিংড়ির ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করতেন তিনি। সন্দেশখালির সিন্ডিকেট চালানোর কিংপিন ছিলেন শাহজাহান। সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে এমনটাই দাবি করল ইডি।
শনিবার জেল হেপাজতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। সোমবার তাঁকে নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা। এদিন বিকালেই তাঁকে নিম্ন আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতের লক আপে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিড়ের মধ্যে প্রচণ্ড ধস্তাধস্তি শুরু হয়। হোঁচট খান শাহজাহান। তারপর ইডির আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, জমি দখল করে সেই জমি টাকার বিনিময়ে অন্যদের ব্যবহার করতে দিতেন শাহজাহান। সেই কালো টাকা চিংড়ির ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করা হত। এই ব্যবসা তাঁর মেয়ে শেখ সাবিনার নামে ছিল। এই ব্যবসার মাধ্যমে দুর্নীতির টাকা সাদা করা হত। সন্দেশখালির সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নিজেদের ভেড়ি মালিক হিসাবে দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করেছেন।
অন্যদিকে, শাহজাহানের আইনজীবীর দাবি, তাঁকে সঠিক পদ্ধতিতে গ্রেপ্তার করেনি ইডি। এমনকি গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করানোও হয়নি। ইডির আইনজীবী দাবি করেন, দেশের স্বার্থে, সন্দেশখালির মানুষের স্বার্থে শাহজাহানকে হেপাজতে নেওয়া প্রয়োজন। ইডি তাঁকে ১৪ দিনের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। তবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।