উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার সাজা পেতে হয়েছিল তিন আদিবাসী মহিলাকে। দণ্ডি কেটে ফের ফিরতে হয়েছিল ঘাসফুলে। বিজেপি দণ্ডি কাটার ছবি প্রকাশ করে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিল। এই অভিযোগের পরই তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে খোদ হস্তক্ষেপ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই তিন জনের মধ্যে শিউলি মার্ডিকে এবার গ্রাম পঞ্চায়েতে টিকিটও দিয়েছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর চক বলরাম আসন থেকে জিতেছেন সেই শিউলি। ১০৫ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। পরাজিত করেছেন বিজেপি প্রার্থীকে। তৃণমূলের একাংশ বলছে, এ ভাবে বিজেপির অভিযোগের যোগ্য জবাব দিয়েছে দল।
প্রসঙ্গত গত ৬ এপ্রিল বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন আদিবাসী মহিলা। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন শিউলি, মার্টিনা কিস্কু, ঠাকরান সোরেন, মালতী মুর্মু। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের তৃণমূলে ফেরেন শিউলি-সহ ওই চার জন। তৃণমূলে ফেরাতে ‘প্রায়শ্চিত্তে’র জন্য রাস্তায় দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। পরে এই মহিলা নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। ঘটনায় দু’জন গ্রেপ্তার হন।
‘জনসংযোগ যাত্রা’য় গিয়ে ওই তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে চা পানও করেন তিনি। পরে অভিষেক বলেন, ‘‘গত ৭ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছিল, তাকে সভ্য সমাজের কোনও মানুষ সমর্থন করেন না। দলগত ভাবেও সমর্থন করা যায় না। তৃণমূল বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল, কেউই এই ঘটনাকে সমর্থন করতে পারে না। আমাদের যিনি মহিলা সমিতির সভাপতি ছিলেন তাঁর একটা ভূমিকা ছিল বলে শুনেছিলাম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ ওই তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে চা পানও করেন। শেষ পর্যন্ত শিউলিকে প্রার্থী করার তৃণমূলের কৌশল সফল হয়েছে বলেই দাবি দলের।