বর্ধমানঃ হাড় হিম করা ঘটনা বললেও হয়তো কম বলা হবে। খড় বোঝাই বেপরোয়া গতির মোটর ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’টুকরো হয়ে গেল ছোট্ট শিশু চন্দন হালদারের দেহ। বুধবার বিকেলে সাড়ে চারটে নাগাদ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় অগ্রদ্বীপ-বেথুয়াডহরি রোডে। দুর্ঘটনার এক শিশুর এমন ভয়ানক পরিণতি হওয়া দেখে শিউরে ওঠেন ঘটনাস্থলে থাকা মানুষজন।
অগ্রদ্বীপ পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দু’টুকরো হয়ে যাওয়া শিশুর দেহ নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে শিশুটি কথাও বললেও হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর বয়সী শিশু চন্দন হালদারের বাড়ি কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ গোপীনাথ তলায়। আদিত্য হালদার ও চম্পা হালদারের দুই ছেলের মধ্যে চন্দনই ছিল ছোট। এদিন হাসপাতালে ছোট্ট চন্দনের কোমড়ের উপরের অংশ জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে যাচ্ছেন শিশুটির পিসিমা আদুরি হালদার। পাশে নাতির নিম্নাংশ জড়িয়ে ধরে শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছেন দাদু অর্জুন হালদার। ছেলের এই পরিনতি দেখে শোকে বিহ্বল আদিত্য বাবু ও চম্পাদেবী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আদিত্যবাবুদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জনৈক এক প্রতিবেশীর বাড়িতে এদিন বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সকাল থেকেই ভোজ খেতে যাওয়ার জন্য বায়না করছিল চন্দন। কিন্তু ভোজ খেয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না তার। দূর্ঘটনার পর নাতির দেহাংশ দুটি জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঠাকুমা পারুল হালদার। পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক মোটর ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। তার সন্ধান চলছে।