উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন? এ নিয়ে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। তবে এরই মধ্যে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি-কে শিবকুমারের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য সিদ্দারামাইয়াকে সমর্থন করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি ভেনুগোপাল। এছাড়াও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেশিরভাগ বিধায়কও সিদ্দারামাইয়াকে সমর্থন করছেন।
এদিকে, কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (কেপিসিসি) প্রধান ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধির। কিন্তু তাতে শিবকুমারের কপালে শিকে ছিঁড়বে কিনা তা অবশ্য বলা যাচ্ছে না। তবে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দু’জনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। যদিও তিনি কারও পক্ষ নিচ্ছেন না বলেই জানা গেছে। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন খাড়গে। নিরপেক্ষ রয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালাও।
মঙ্গলবার রাহুল গান্ধি কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইতিমধ্যে ডি কে শিবকুমার নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন। কর্ণাটকে সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। সোমবারই দিল্লিতে পৌঁছেছেন সিদ্দারামাইয়া। কর্ণাটকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার উভয়েই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যেখানে দল ২২৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসনে জয়লাভ করে।