সানি সরকার, শিলিগুড়ি: নিউটাউনের আদলে শিলিগুড়িতেও (Siliguri) হবে কনভেনশন সেন্টার। বড় মাপের শিল্প সম্মেলন থেকে প্রশাসনিক বৈঠক, সরকারি নানা অনুষ্ঠানের জন্য শিলিগুড়িতে কনভেনশন সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার জমি চিহ্নিত করল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ) (SJDA)।
তিনটি জমি চিহ্নিত করে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা। বৃহস্পতিবার এনিয়ে এসজেডিএর ১৫০তম বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) উন্নয়নে এদিন ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিধান মার্কেটের আধুনিকীকরণে এদিন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘শিলিগুড়িকে ফোকাস করে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮টি কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কনভেনশন সেন্টার গড়ে তোলার ব্যাপারে। রাজ্যের তরফে আমাদের জমি চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই দায়িত্ব আমরা পালন করতে পেরেছি। আশা করছি সেন্টারের কাজ শুরু হতে বেশিদিন লাগবে না।’
ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দুগারের বক্তব্য, ‘সেন্টারটি হলে উত্তরবঙ্গকেন্দ্রিক বড় ধরনের শিল্প সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রে তেমন বাধায় আর পড়তে হবে না। হোটেল ভাড়ার খরচ সাশ্রয় হবে।’
উত্তরবঙ্গেও কলকাতার মতো কনভেনশন সেন্টার গড়ে তোলা হবে- গত বছরই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এক্ষেত্রে যে গুরুত্ব পাবে শিলিগুড়ি, সেটাও স্পষ্ট হয়েছিল জমি খোঁজার দায়িত্ব এসজেডিএকে দেওয়ায়। জানা গিয়েছে, সেন্টারটির জন্য কাওয়াখালি, মাটিগাড়ার ছোটপথু এবং উত্তরায়ণ সংলগ্ন এলাকায় জমি দেখা হয়েছে।
তিনটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় ১১ একর জমি রয়েছে বলে এসজেডিএ সূত্রে খবর। বিষয়টি নিয়ে এদিন এসজেডিএর বোর্ড মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিধান মার্কেটের আধুনিকীকরণ নিয়েও এদিন কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে আগুন নেভানোর জন্য বিশেষ জলাধার তৈরি এবং সেখান থেকে দোকানগুলিতে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা গুরুত্ব পাচ্ছে। সৌরভ বলেন, ‘দ্রুত জলাধার তৈরির কাজ শুরু করা হবে। একইসঙ্গে একটি আধুনিক শৌচালয় তৈরি করা হবে। শিশুদের দুগ্ধ পানের জন্য বিশেষ একটি ঘর তৈরির সিদ্ধান্তও এদিন নেওয়া হয়েছে।’
লোকসভা নির্বাচনের আগে উন্নয়নেও নজর দিচ্ছে এসজেডিএ। শিলিগুড়ি শহর, মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, ডাবগ্রাম-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মালবাজারের উন্নয়নে ৩৮টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। রাস্তা এবং ড্রেন তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিচ্ছে এসজেডিএ।