রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: কাউকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে, আবার কাউকে অপহরণ করে পাচার করে দেওয়া হচ্ছিল ভিনরাজ্যে। কিন্তু শিলিগুড়ি জিআরপির (Siliguri GRP) সক্রিতায় পাচারের আগেই সেইসব নাবালক-নাবালিকাদের উদ্ধার করা গিয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের হিসেব ধরে এখনও পর্যন্ত ২২ জন নাবালিকা এবং ২৯ জন নাবালককে উদ্ধার করতে পেরেছে শিলিগুড়ি জিআরপি। প্রত্যেককেই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন এসআরপি শিলিগুড়ি জিআরপি এস সেলভামুরুগান।
উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একদিকে অসম-বাংলা সীমানা, অপরদিকে ফরাক্কা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা শিলিগুড়ি জিআরপির অধীনে। গত দেড় মাসে এই এলাকার জিআরপি থানা এলাকা থেকে একের পর এক নাবালক এবং নাবালিকাকে (Minor) উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি রয়েছে মালদা এবং ডুয়ার্সের চা বলয়ের ছেলেমেয়ে। অনেকে আবার রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসে।
রবিবার রাতেও আলিপুরদুয়ার জংশন জিআরপি এক নাবালিকাকে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশকর্মীরা জানতে পারেন, বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে পালিয়ে এসেছে সে। পরে তার পরিজনদের ডেকে বুঝিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই নাবালিকাকে।
আবার রবিবারই নিউ কোচবিহারে দুই নাবালককে উদ্ধার করে জিআরপি। এরা দুজনেই কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ির বাসিন্দা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে ট্রেন চেপে অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
অন্যদিকে, গত জানুয়ারি মাসে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৮৫০ কেজি গঁাজা উদ্ধার করেছে শিলিগুড়ি জিআরপির অধীনে থাকা বিভিন্ন থানা। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পাশাপাশি ৫২টি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছেন শিলিগুড়ি জিআরপির কর্মীরা।