উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সবাই শুধু টাকা চায়…………’ ব্যাস এইটুকু লেখা সুইসাইড নোটে। তারপর সবটা শেষ। আধুনিকতার মোড়কে যতই সমাজ মুড়ে থাকুক না কেন আজও নারীদের জন্য কিছু প্রথা অপরিবর্তনশীল। এমনই এক প্রথার বেড়াজালে নিজের জীবন দিতে হল এক চিকিৎসক কন্যাকে। হবু বরের চাহিদা মত পণ দিতে না পারায় নিজের জীবন শেষ করতে একবারও ভাবেননি তিনি। ঘটনায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বছর ২৬ এর তরুণী ডাঃ শাহানা। তিরুবনন্তপুরমের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের স্নাতকোত্তর কোর্স করছিলেন। তারই সঙ্গে একই বিভাগে পড়তেন ডা: ইএ রুওয়াইস। দুজনে জড়িয়ে পরেন প্রেমের সম্পর্কে, ঠিক করেছিলেন বিয়ে করবেন। বছর দুয়েক আগে মারা গেছেন শাহানার বাবা। তাঁর মা এবং দুই ভাইবোনের সঙ্গে থাকত সে। দুই পরিবারের সম্মতি নিয়ে এগোচ্ছিল বিয়ের কথা। বিয়ের জন্য প্রেমিকের পরিবার দাবি করে ১.২ কেজির স্বর্ণালংকার, ১৫ একর জমি এবং একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি। শাহানার পরিবার যখন জানায় যে তারা দাবি পূরণ করতে পারবে না তখন তাঁর প্রেমিকের পরিবার বিয়ে বাতিল করে দেয়। এরপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শাহানা।
এই ঘটনার পর পুলিশ প্রেমিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও পণ বিরোধী আইনে মামলা রুজু করেছে। রেকর্ড করা হয়েছে তরুণীর পরিবারের বয়ান। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পি সাথী দেবী ডাঃ শাহানার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জানান, পণের দাবির কারণ মানসিক যন্ত্রণা যদি ওই চিকিৎসককে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।