শক্তিপ্রসাদ জোয়ারদার, কিশনগঞ্জ: মা-র পরকীয়ার বলি দশ বছরের নাবালক! বিহারের কাটিহারের ঘটনা। মৃতের নাম মহম্মদ তৌফিক (১০)। পুলিশ মা ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে। জেরার মুখে দোষ কবুল করেছে অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ জুলাই রাতে খুন হয় মহম্মদ তৌফিক। সেদিন দুপুরে ছাগল নিয়ে বিবাদের জেরে প্রতিবেশী যুবক মহম্মদ ছোটু (২২) তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই খুনের পর তার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে মৃতের মা রুকসানা। এরপর নাবালকের বাবা মহম্মদ কয়ুম ছোটু সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কাটিহার সদর থানার দন্ডখোঁড়া ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। ১৪ জুলাই ছোটুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে জেলে রয়েছে।
তবে ছাগল নিয়ে বিবাদের জেরেই যে এই খুন, এটা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ শুরু থেকেই সন্দিহান ছিলেন। এরই মধ্যে মৃতের বাবা মহম্মদ কয়ুম তাঁর স্ত্রী রুকসানার পরকীয়ার কথা পুলিশকে জানান। যার জেরে পুলিশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। উঠে আসে প্রাণপুরের মহম্মদ নওশাদের নাম।
তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, রুকসানা ও নওশাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলছিল রুকসানার দশ বছরের ছেলে তৌফিক। সে একথা তার বাবা মহম্মদ কয়ুমকে বলে দেয়। তা শুনে তিনি স্ত্রীকে মারধর করেন। এনিয়ে দম্পতির মধ্যে মারাত্মক ঝামেলা হয়। পথের কাঁটা সরাতে ১৩ জুলাই রাতে প্রেমিক নওশাদের সঙ্গে মিলে নিজের ছেলেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে রুকসানা। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠছেন সকলে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কাটিহারের এএসপি রশ্মি জানান, রুকসানা ও তার প্রেমিক নওশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার কাটিহার আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের ১৪দিনের বিচার বিভাগীয় হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।