আলিপুরদুয়ার: পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বিভিন্ন ভ্যাকসিন দেওয়ার স্পেশাল ক্যাম্প করছে আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে অগাস্ট থাকে তিনমাস নির্দিষ্ট দিনে এই ক্যাম্পগুলি চলবে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ০-২ বছর এবং ২-৫ বছরের শিশুদের দু’ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনগুলো গ্রুপ অনুযায়ী দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের এই ইন্দ্রধনুষ নামের স্পেশাল ক্যাম্প আলিপুরদুয়ার জেলায় শুরু হচ্ছে ৭ অগাস্ট থেকে। মঙ্গলবার এই নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে একটি বৈঠক হয়।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, জেলায় এই স্পেশাল ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন পাবে ৯,৭৫৩ জন শিশু। এর মধ্যে সব থেকে বেশি শিশু রয়েছে ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক থেকে। জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা জানান, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রত্যেক শিশুর জন্যই বিভিন্ন ভ্যাকসিন দেওয়া হয় বিনামূল্যে। তবে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যায় অনেকেই সেই ভ্যাকসিন নিতে পারেন না। কখনও আবার ভ্যাকসিনের যে কটি ডোজ দেওয়া প্রয়োজন সেটা দেওয়া হয় না। এই ভ্যাকসিন না পাওয়া বা কোনও ডোজ না নেওয়ায় শিশুদের এবার স্পেশাল ক্যাম্প করে বাকি থাকা সব ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হুর (ডাব্লিউএইচইউ) প্রতিনিধি ডা: শুভেন্দু রায়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: তরুণকান্তি খাটুয়া। বৈঠকের বিষয়ে উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘স্বাস্থ্য দপ্তর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী যে ভ্যাকসিনগুলি শিশুদের দেয় সেগুলোর অনেকগুলিই অনেক শিশু বিভিন্ন কারণে নিতে পারে না। এইরকম শিশুদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসের প্রতি দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টানা ছয়দিন ওই শিশুদের বাকি থাকা ভ্যাকসিনগুলি দেওয়া হবে।’
ঠিক কী কী ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এই ক্যাম্পগুলোয়? জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা জানান, প্রায় ১২টি রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় শিশুদের। এই রুটিন ভ্যাকসিনগুলির মধ্যে ওরাল পোলিও, মিজেলস, রুবেলা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যান্টাভেলেন্ট, টিটেনাস, হেপাটাইটিস-বি সহ বিভিন্ন ভ্যাকসিন রয়েছে। মাস কয়েক আগেই জেলায় মিজেলস, রুবেলা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য একটি স্পেশ্যাল ক্যাম্প করা হয়েছিল। ওই ক্যাম্পেও অনেকে আসেনি। এই রকম বিভিন্ন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কেন বাড়ির লোকরা শিশুদের নিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসছে না। শিশুদের কী কী ভ্যাকসিন দেওয়া বাকি রয়েছে সেই সব কিছুর তথ্য আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করেন। সেই তথ্য থেকেই যে তালিকা তৈরি হয়েছে সেটা অনুযায়ী অগাস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনের স্পেশাল ক্যাম্পটি।
